 
ঢাকার সাভারে নিখোঁজের ১১ দিন পর রাব্বি (২৩) নামের এক অটোরিকশা চালকের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে সাভারের উত্তর কলমা এলাকার স্ট্রবেরি বাগান সংলগ্ন জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাব্বি উত্তর কলমা এলাকার মৃত সবজেল খানের ছেলে। পেশায় তিনি অটোরিকশা চালক ছিলেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য রাব্বি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ নিখোঁজ হন। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা পাড়া-প্রতিবেশীসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়েও কোনো সন্ধান পাননি। অবশেষে ১৯ অক্টোবর সাভার মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয়রা জঙ্গলে তীব্র দুর্গন্ধ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বস্তা দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বস্তাটি খুলে অর্ধগলিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে, যার দুই হাত বাঁধা এবং শরীরের বেশ কিছু অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহটি রাব্বির বলে শনাক্ত করেন।
এলাকাবাসীর ধারণা, অটোরিকশাসহ তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হতে পারে। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাইজুর খাঁন জানান, স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীরা রাব্বিকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে জঙ্গলে ফেলে রাখে।
তিনি আরও বলেন, “মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।’’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাব্বি ছিলেন শান্ত ও পরিশ্রমী একজন যুবক। প্রতিদিন সকালে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে রাতে বাসায় ফিরতেন। ঘটনার পর থেকে তার পরিবার শোকে স্তব্ধ। রাব্বির মা বলেন, “আমার ছেলেটা কিছুই বুঝত না, সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত। কে বা কারা ওকে এইভাবে মেরে ফেলল, আমি বিচার চাই।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বলছে, হত্যার পেছনে কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
 
					 
							 
			 
		 
		 
		 
		