জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে কাজ করতে এসে প্রীতম রায় নামে এক ইন্টারনেট কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করেন হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রীতম রায়ের (২৩) গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের হয়ে কাজ করতে এসেছিলেন তিনি। সাভারের ভাটপাড়া এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি।
মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী ইন্টারনেট মেরামতের কাজে হলে আসেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। বাকিরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। একপর্যায়ে প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে নিস্তেজ অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। তারা ধারণা করছেন, প্রীতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।
প্রীতমের সঙ্গে কাজ করতে আসা মো. লিংকন বলেন, কাজ করার সময় তার সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রীতমের। পরে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। পরে ছাদের যে অংশে কাজ করছিল সে অংশে গিয়ে কল দিলে ভবনের নিচে প্রীতমের মুঠোফোন বাজতে থাকে। নিচে গিয়ে দেখেন মাটিতে পড়ে আছে প্রীতম।
এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে দুই বার গিয়েছেন তিনি। কর্মচারীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে হলের ছাদের চিলেকোঠার অংশের কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে সে পড়ে গেছে। আমরা কার্নিশের ইট ভাঙা পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।