পাইকগাছায় আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে ঘরে ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বর প্রকট আকার ধারণ করেছে

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে খুলনার পাইকগাছার গড়ইখালী ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে আশ্রায়ন প্রকল্পের ১৯৫ টি ঘর-বাড়ির মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে জোয়ারের পানি প্রবেশ ঠেকাতে গত ৬ দিন ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরুর নেতৃত্বে চলছে বাঁধ সংস্কারের কাজ। অন্যদিকে আশ্রায়ণ প্রকল্পের প্রায় প্রতিটা ঘরে ঘরে শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ডায়ারিয়া ও সর্দি-জ্বর।

উপজেলার উপকূল বেষ্ঠিত শিবসা ও মিনহাজ নদীর কুলে অবস্থিত গড়ইখালী ইউনিয়ন। যার প্রাণ কেন্দ্রে ২০২৪ সালে গড়ে ওঠে আশ্রায়ণ প্রকল্প। যেখানে বসবাস করছে ১৬০ টি পরিবার। যার সাথে ২ বছর আগে দেয়া হয়েছে ৩৫ টি মুজিব বর্ষের ঘর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবেলা করে প্রবহমান শিবসা ও মিনহাজ নদীর তীরে তাদের বসবাস। দীর্ঘ ২০ বছরের মধ্যে তাদের দেয়া বাড়ী ঘর সংস্কার না করায় তা প্রায় বসবাস

অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেখানে নেই কোনো বাথরুমসহয়পানীয়জলের ব্যবস্থা।
এর মধ্যে গত সোমবার ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে প্রকল্পের ১৯৫ টি বাড়ীঘর তলিয়ে একাকার হয়ে যায়। যার ফলে দুষিত হয়ে পড়েছে পানি ও পরিবেশ। প্রায় প্রতিটা ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ। ২০-২৫ টা শিশু ইতোমধ্যে ডাইরিয়া ও সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাশারুল বলেন তার ১৮ মাসের শিশু রাকিবুল্লাহ ডাইরিয়া আক্রান্ত। তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনিভাবে ঘরে ঘরে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু বলেন আশ্রয়ণ প্রকলের বাসিন্দারা চরম দুর্দশার মধ্যে বসবাস করছে। তাদের নেই কোন স্যানিটেশন ও পানীয়জলের সুু-ব্যবস্থা এছাড়াও বাঁধ ভেঙ্গে সব তচনছ হয়ে গেছে। এদিকে জোয়ারের পানি ঠেকাতে এলাকার লোকজনকে নিয়ে ৬ দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ বাঁধছি।

এ ব্যাপারে তিনি আশ্রায়ণের বাসিন্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি দিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, বিষয়টি জেনেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

Share This Article