বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রশাসনের কর্তৃত্ব খাটানোর জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে: রাহমান চৌধুরী


ধীরা ঢালি প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৯, ২০২২, ৩:৪৯ অপরাহ্ণ /
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রশাসনের কর্তৃত্ব খাটানোর জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে: রাহমান চৌধুরী
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রশাসনের কর্তৃত্ব খাটানোর জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে: রাহমান চৌধুরী

এক সময় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গ্রামের মেধাবী ছেলেরা খুব সহজে পড়তে পারত। এখন সে জায়গাগুলো ধবংস হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো মালিকপক্ষ, উপচার্য এবং প্রশাসনের কর্তৃত্ব খাটানোর জায়াগা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড.রাহমান চৌধুরী।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা এবং শিক্ষক’ শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক রাহমান চৌধুরী আরও বলেন, “সে সময় মুখস্থ বিদ্যা ছিল তবে তারা ভালোও করতেন। কারণ, সে মানের শিক্ষকও ছিল। তারা সেরকম গাইডলাইন দিতেন। বর্তমানে তার কিছুই দেখছি না।”

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তানভীর আহমেদ খান, নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর, চিকিৎসক আবদুন নূর তুষার প্রমুখ।

সেমিনারে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের কাছে ধরনা ধরতে হয় হয়। এই উপাচার্য নিয়োগই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বারোটা বাজানোর প্রথম ধাপ। এমন একজন লোককে নিয়োগ দেওয়া হবে, যে লোক যেটা প্রসন্নময় সেটিকে গ্রহণ করবেন। সরকারের বাধ্যবাধকতা বা আনুগত্যই হবে তাঁর প্রধান পরিচয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সম্পর্কে বলেন, “কোন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে না। কেননা তারা যেসব হলে থাকে সবগুলো সরকারী ছাত্র সংগঠনের অধীনে চলে যায়। এ দলগুলো যারা চালায় তাদের কথামতো না চললে অনেকসময় শিক্ষার্থীদের উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। সেখানে হল প্রশাসনের যেসব শিক্ষক আছেন তারা নিরব ও নিষ্ক্রিয় থাকে।”
বাংলাদেশ চিত্র/এআর