চরফ্যাশন প্রতিনিধি: পল্লী কর্ম -সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)- এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় সফল উদ্যোক্তা ও খামারীদের ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদানসহ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় পরিবার উন্নয়ন সংস্থা( এফডিএ) -এর প্রধান কার্যালয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক এবং সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন এবং আরো উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি,মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ ও ঋণ ও প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শংকর চন্দ্র দেবনাথ ।
উক্ত আলোচনা সভায় কার্যক্রম বিষয়ক বক্তব্য রাখেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সহ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের কারিগরী কর্মকর্তাগণ ও আরো অনেকে।
কৃষি খাতের দক্ষিন আইচা শাখার সফল কৃষক মোঃ হুমায়ুন জানান, তিনি এফডিএ প্রশিক্ষণ নিয়ে ও লোন নিয়ে ৪০ শতাংশ জমিতে নিরাপদ সবজির (শশা,করলা, লাউ) চাষ শুরু করেন। শুরুতে নানাবিধ সমস্যা সম্মুখীন হলে ও এফডিএ-এর কৃষি কর্মকর্তা হতে পরামর্শ ও সংস্থা হতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লোন পেয়ে বর্তমানে ১৬০ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসের পাশাপাশি এফডিএর কার্যক্রম কৃষি খাতে উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে এবং আমি আশা করি সফল কৃষক হুমায়ুন এর সাফল্য দেখে অন্যান্য কৃষকরা অনুপ্রানিত হবে।
মৎস্য খাতের জিন্নাগড় শাখার সফল উদ্যোক্তা মোঃ কবির জানান, “তিনি এফডিএ হতে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং লোন সুবিধা পেয়ে বর্তমানে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তার প্রশংসায় সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, উপজেলা মৎস্য অফিসের পাশাপাশি এফডি-এর কার্যক্রম সত্যিই চমৎকার। এভাবে পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করে মাছ চাষীদের সম্মানিত করায় অন্যান্য চাষীরাও উৎসাহ পাবে বলে আশা করি।”
এছাড়াও প্রাণিসম্পদ খাতের দুলারহাট শাখার একজন সফল উদ্যোক্তা মোঃ আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ২০২১ সালে তিনি সর্বপ্রথম ৪০০ ডিমের হাঁসের কৃত্রিম হ্যাচারি হতে খাকি ক্যাম্পবেল, জিনডিং জাতের হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন ও বিক্রি করে বর্তমানে এফডিএ হতে তিনি ৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে এবং পিকেএসএফ -এর সহযোগিতায় ইনকিউবেটরে প্রতি ব্যাচে ৩৮ হাজার ডিমের হ্যাচিং করে থাকেন। এরপর তিনি সেগুলো ভোলা জেলার বাহিরে বরিশাল, পটুয়াখালী -তেও বিক্রয় করে থাকেন। প্রতি মাসে গড়ে ৮০-৯০ হাজার টাকা লাভ করে আর্থিকভাবে অগ্রসর হয়। এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রহমতউল্লাহ বলেন, পরিবার উন্নয়ন সংস্থা ও পিকেএসএফ এর কার্যক্রম বেশ প্রশংসনীয় এবং দেশের উন্নয়নে এ ধরনের সম্মাননা অনুষ্ঠান খামারীদের অনুপ্রাণিত করবে।
বাংলাদেশ চিত্র/আনিস
আপনার মতামত লিখুন :