সংস্কার নয়, নতুন করে সংবিধান পুনর্লিখনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে অভ্যুত্থানকারী তরুণদের প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনটির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তারা জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই আগের সংবিধান বাতিল হয়ে গেছে বলে তারা মনে করেন। বলেন, বিদ্যমান সংবিধান দেখলে মনে হয় এটা আওয়ামী লীগের দলিল। নতুন সংবিধানে কেউ স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে, এমন কোনো সুযোগ রাখতে চায় না তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি তারা জানিয়েছেন। সংবিধান রচনার পর গণপরিষদই রূপ নেবে আইনসভায়। সংবিধানে দুইবারের বেশি কোনো ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির ৬৯ দফা প্রস্তাবনায়। বলা হয়, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের উচ্চ কক্ষের নাম হবে জাতীয় পরিষদ, আর নিম্নকক্ষ আইনসভা হবে।
সরকারের মেয়াদ চার বছর করার দাবি জানানো হয়েছে। থাকতে হবে প্রতিটি জাতিসত্তার স্বীকৃতি। গণভোটের বিধান রাখার কথাও জানিয়েছেন তারা। গণভোট ছাড়া কেবল আইনসভার দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থনেই সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করা যাবে না।
আখতার বলেন, সাংবিধানিক পদে থাকা কাউকে অপসারণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে না রাখার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। ৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা খর্ব করার পক্ষেও তারা। নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী; তবে নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে না তার হাতে, এমন প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :