নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন: বাসেম নাঈম

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভন্ডুল করতে নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির অভিযোগ, ইসরাইল সরকার চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হচ্ছে না, যা আগামী ১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক শাখার জ্যেষ্ঠ সদস্য বাসেম নাঈম এ অভিযোগ করেন।

বাসেম নাঈম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আবারও এই চুক্তিকে ভন্ডুল ও গুরুত্বহীন করার নোংরা খেলা চলছে। আর এই খেলার মাধ্যমে আবার নতুন করে যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার বার্তা দেয়া হচ্ছে।’

হামাসের এই নেতার অভিযোগ, ইসরাইল চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করছে। চুক্তির প্রথম পর্যায় কার্যকর থাকার মেয়াদকালে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রতিশ্রুতি মেনে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা গাজায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। নেতজারিম করিডর (গাজার উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে সংযোগকারী সংকীর্ণ পথ) থেকে সেনা প্রত্যাহার স্থগিত রাখা হয়েছিল।

এর আগে এই মাসের শুরুতে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামাসের অভিযোগ সত্য। তবে সরকারিভাবে ইসরাইল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় ছয় সপ্তাহের প্রথম পর্যায়ের মধ্যে চূড়ান্ত করার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেয়া, গাজা থেকে আংশিকভাবে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়।

১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায় চূড়ান্ত হলে সব ইসরাইলি বন্দির মুক্তি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।

এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী শনিবার ইসরাইলের ছয়জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ছয় ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে ৬২০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়নি ইসরাইল। অপেক্ষারত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো তাদের আপনজনদের ফিরে পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অভিযোগ, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে মুক্তি দেয়ায় আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে না।

Share This Article