স্টার্টআপে বিনিয়োগে ভাটা, এআই সম্পর্কিত দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) দক্ষতার ঘাটতিতে ভাটা পড়ছে দেশীয় স্টার্টআপে। দ্রুত কর্মসংস্থানের জন্য স্টার্টআপ সম্ভাবনাময় হলেও গত বছর এ খাতে বিনিয়োগ কমেছে ৪১ শতাংশ। প্রচলিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিল রেখে উচ্চ করারোপ সফল স্টার্টআপের জন্য বড় বাধা বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আইসিটিভিত্তিক তারুণ্য নির্ভর স্টার্টআপ উদ্যোগ বাড়ছে। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কমেছে বিনিয়োগ। এ লক্ষ্যে করা চুক্তির সংখ্যাও কমেছে। বিদেশ থেকে আসা বিনিয়োগের পাশাপাশি কমেছে স্থানীয় বিনিয়োগের পরিমাণও।

উদ্যোক্তারা বলছেন, স্টার্টআপের ক্ষেত্রে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রাধান্য দিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দক্ষতা কম থাকায় বিনিয়োগে ভাটা পড়ছে।

স্টার্টআপ সংক্রান্ত নীতিমালা সহজ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, স্টার্টআপে গুটিকয়েক বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এটি বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। ট্যাক্সেশন সিস্টেম, রেগুলেশন সহজ করতে হবে।

জটিল নীতিমালা ও উচ্চ করের মত বাধার কথা তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের চ্যাট জিপিটি নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে নজর দিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, স্টার্টআপ ধৈর্যের ব্যাপার। এটিতে লেগে থাকতে হবে। পাশাপাশি ক্লায়েন্টদেরও উচিত উদ্যেক্তাদের যথেষ্ট সময় দেয়া।

টেলিকম ও তথ্য প্রযুক্তি খাত বিশ্লেষক টি আই এম নূরুল কবীর বলেন, বাংলাদেশের স্টার্টআপ সংক্রান্ত নীতিমালায় বেশকিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে। স্টার্টআপে ধারাবাহিকতারও অভাব রয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।

সফল স্টার্টআপের জন্য উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে সরকারি উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

Share This Article