ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে জিয়া পরিষদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ইবি প্রতিনিধি ::
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা (ইবি) হলে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে তারা প্রতিবাদ জানান। এর আগে এক বিবৃতিতে এই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিবৃতি দেয় তারা।

মানববন্ধনে জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজিবুল হক, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ রশিদুজ্জামান, প্রফেসর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও ড. অলিউর রহমান পিকুল প্রমূখ।

এসময় সাদা দলের আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মমতাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সামাদ, প্রফেসর ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন, প্রফেসর মোহাম্মদ সেলিম, প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর মোঃ আইনুল হক আকন্দ, প্রফেসর এটিএম মিজানুর রহমান, প্রফেসর মিজানুর রহমান, প্রফেসর মো: আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর সাহাবুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর ড. মোঃ নাসির উদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোঃ হাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ খোদেজা খাতুন, প্রফেসর ড. মোঃ খায়রুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মাকসুদা খাতুন ও মোঃ আলাউদ্দিন, গোলাম মাহফুজ মঞ্জু ,মোঃ জিনজির হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে নবীন ছাত্রীর উপর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় আমরা লজ্জিত। স্বাধীনতা আজকে বস্ত্রহারা। আর কোন বোন যেন নির্যাতিত না হয় সেজন্য এর বিচারের দাবতে জিয়া পরিষদের মত সকল সংগঠন থেকে আন্দোলনে নামতে হবে। বাংলাদেশের মূল রোগ গণতন্ত্রহীনতা। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পূণরুদ্ধার করা হলে রোগের সমাধান হয়ে যাবে। তাহলে আর কোন বোনকে নির্যাতিত হতে হবে না, কোন বোনকে সম্ভ্রম হারাতে হবে না। তাই সর্বস্তরের জনগকে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলনে সামিল হতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের তাবাচ্ছুমসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ৪ তদন্ত কমিটি।

Share This Article