
গত আগস্ট মাসে দেশে ৪৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪২৮ জন। এতে আহত হয়েছেন ৭৯১ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৮, শিশু ৩৪। ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৩২ জন, যা মোট নিহতের ৩০.৮৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১.৯২ শতাংশ।
আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দুর্ঘটনাভিত্তিক মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করে।
দুর্ঘটনায় ৮৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৯.৩৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫২ জন, অর্থাৎ ১২.১৪ শতাংশ। এ সময়ে ১৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ১৭ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৩২ জন (৩০.৮৪%), বাসের যাত্রী ৩০ জন (৭%), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রলি-লরি আরোহী ২৭ জন (৬.৩০%), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ২১ জন (৪.৯০%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯৭ জন (২২.৬৬%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র) ৩৩ জন (৭.৭১%) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৫ জন (১.১৬%) নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৪টি (৪৭.৪৫%) জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৫টি (২৯.৯৩%) আঞ্চলিক সড়কে, ৪২টি (৯.৩১%) গ্রামীণ সড়কে এবং ৬০টি (১৩.৩০%) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাসমূহের ৯০টি (১৯.৯৫%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০৭টি (৪৫.৮৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮৫টি (১৮.৮৪%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৬২টি (১৩.৭৪%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭টি (১.৫৫%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক-ডাম্পার-ভেকু-সেনা টহল ভ্যান ২৬.৮৮%, যাত্রীবাহী বাস ১৩.৮৯%, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স ৫.৪৩%, মোটরসাইকেল ২৩.১১%, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা) ১৯.১৮%, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ৫.৫৮%, বাইসাইকেল-রিকশা ২.৭১% এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩.১৭%।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৬৬২টি। (বাস ৯২, ট্রাক ৮৭, কাভার্ডভ্যান ২৩, পিকআপ ৩১, ট্রাক্টর ৭, ট্রলি ৬, লরি ১৪, ড্রাম ট্রাক ৪, ডাম্পার ৩, ভেকু ২, সেনা টহল ভ্যান ১, মাইক্রোবাস ১০, প্রাইভেটকা ২২, অ্যাম্বুলেন্স ৪, মোটরসাইকেল ১৫৩, থ্রি-হুইলার ১২৭ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৩৭ (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার), বাইসাইকেল-রিকশা ১৮ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২১টি।