সোনালি জীবনের রূপালি অতীত

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

সাহিত্য প্রতিবেদন :

শৈশবের স্মৃতি অতীত হয়েছে, ধনাগোদা তীর ঘেঁষে।
কলসি কাঁখে গাঁয়ের বধূর,পথচলা ঐ পানে।
স্কুলে যে দিন এসেছিলাম প্রথম,

ভয়ে কেঁপে উঠেছিল বুক থরথর।
আদর্শ লিপি আর খড়িমাটি স্লেট নিয়ে,
পড়তে বসেছিলাম বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের বারান্দার স্বল্প উঁচু প্রাচীরে।
সহপাঠী বন্ধুদের কান ফাটানো শোরগোলে।
হঠাৎ স্যার আসলেন বেত নিয়ে,
পড়াতে শুরু করলেন অ, আ উচ্চস্বরে।
ভয়ে তখনও কাঁপছিল বুক দুরু দুরু,
কখন বাড়ির দিকে দৌঁড় করবো শুরু।
একে একে বাংলা, ইংরেজি, অংক হলো শেষ,
ছুটির ঘন্টা বেজে উঠল, ভয়ের কাটল লেশ।
এমনি করে শিক্ষা জীবন চলছিল বেশ।
বন্ধুদের সাথে হই-হুল্লোর চলছিল সবিশেষ।
আজও মনে পড়ে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণের স্মৃতিগাঁথা,
ওনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে পেয়েছি সুন্দর শিক্ষা জীবনটা।

একদিন হঠাৎ বন্ধুদের কয়েকজন পালালো লেইজার পিরিয়ডে,
ক্যাপটেন হিসেবে নাম লিখে রাখার দায়িত্ব পড়লো মোর কাঁধে।
পরদিন ওরা আসলো স্কুলে,
গল্প শুরু করল ক্লাসরুমে।
ওদের শাস্তিতে মনটা হয়ে গেলো ভারাক্রান্ত,
স্যারের শাস্তি থেকে পারতাম যদি করতে ওদের ক্ষান্ত।
ভরা বর্ষায় বন্ধুদের নিয়ে আসা নৌকায় গেলাম চড়তে,
দুই নৌকার দুই দিকে পা দিয়ে গেলাম নদীতে পড়ে,
হাবুডুবু খেয়ে কোনোমতে উঠলাম পাড়ে।
প্রখর রোদে বাবা একদিন বিদ্যালয়ে,
নিয়ে আসলেন নতুন একটা ছাতা।
আজও বিদ্যালয়ে গেলে মনে পড়ে বাবার স্মৃতিটা।
এমনি করে প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের,
কখন যেন হয়ে গেল শেষ।
বিদায়ের দামামা বেঁজে উঠল,
চলিলাম হয়ে অনিমেষ।

লেখক : জামির হোসেন পাটওয়ারী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ( ২০০৩ সন ) পঞ্চম শ্রেণি

১২৪নং নন্দলালপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়।

Share This Article