“ভাষা আন্দোলনের নারী ভাষাকন্যারা” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ। বলতেই পারি ইহা অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এর ব্যক্তিগত আমার স্লোগান। প্রিয়মানুষরা আমাকে স্বপ্নবিলাসী বা কল্পনাবিলাসী বলে, আর আমি বলি- “স্বপ্ন আছে বলেই বেঁচে আছি, বেঁচে আছি বলেই স্বপ্ন নিয়েই থাকি। আমি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি না, কারণ ঘুমের স্বপ্নেরা স্বপ্নপূরণে এগিয়ে আসে না। আমি জেগে জেগেই স্বপ্ন দেখি আর তা বাস্তবায়নের জন্যে কাজ করি। ঘুমের স্বপ্ন আসে আর চলে যায়। জেগে থাকা স্বপ্নেরা বাস্তবায়নের দিকেই আগায়”।
২০০৬-০৭-০৮ অগোছালো জীবন নিয়ে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত। হঠাৎ ভাবনায় এলো, “হারিয়ে গেলে জীবনে একবার শিরোনাম হবো, বেঁচে থাকলে বারবার”। আমি বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। যে আমি লেখাপড়ায় ফাঁকিবাজ সে আমি লেখালেখি করবো তা কখনোই ভাবিনি। মেয়ের কোচিং থেকে ফেরার পথে অনেকগুলো পত্রিকা ম্যাগাজিন কিনে আনি পড়ার জন্যে। পাঠক বা নতুন লেখকদের কিছু কিছু লেখার সাথে মোবাইল নাম্বার পাই, উনাদের সাথে কথা হয়। কিভাবে পত্রিকায় লেখা যায়। কেউ কেউ পথনির্দেশ দিয়েছেন, কেউ এড়িয়ে গেছেন। আরো পত্রিকা ম্যাগাজিন এনে অবসর সময়ে পড়তে থাকি। কি বিষয় নিয়ে কিভাবে লিখছে সেগুলো ভালো ভাবে দেখি।
২০০৯ এর প্রথম থেকে শুরু করি কলম হাতে নেয়া। চারপাশের ছোটছোট সমস্যাগুলো নিয়ে চিঠিপত্রের কলামে লেখা শুরু। পাশাপাশি মনের কিছু কথাকে আবেগের জায়গায় বসিয়ে কবিতা লেখা, চারপাশের আনন্দ বেদনার ঘটনা নিয়ে গল্প লেখা। লিখছি আর পত্রিকায় পাঠাচ্ছি। কখনই নিজেকে এটা বুঝাইনি যে পত্রিকায় লেখা পাঠানো মানেই লেখা প্রকাশ হওয়া। বরং নিজেকে বুঝিয়েছি, আমার খামটা পত্রিকার অফিসে যাক, যে কেউ খুলুক, লেখার সাথে আমার নামটা জানা হোক। নিশ্চয়ই না পড়ে খাম ফেলে দিবে না। খাম কিনে পত্রিকার অফিসে পাঠানোর জন্যে রিকসার পর হেঁটেছি। একবার হাঁটলে ১০ টাকা বাচিঁয়ে ৩/৪ টা খাম কিনতে পারতাম।
লেখা পাঠাতাম আর পত্রিকার দোকানে এসে পত্রিকার পাতায় নিজের নাম আর লেখা খুঁজতাম। মে ২০০৯ সাপ্তাহিক রোবরাব এ প্রথম আমার নাম ছাপার অক্ষরে দেখতে পাই। “নর ও নারী” নামে কবিতা বলবো না, মনের কথাকেই কবিতায় রূপদেয়া। আনন্দে পাঁচটা সংখ্যা কিনি। নামটা ছাপার অক্ষরে দেখে উৎসাহ বেড়ে যায়। সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি দৈনিক পত্রিকায় পাঠাতে শুরু করি। দুইটা নোট খাতা বানাই একটাতে পাঠানোর তারিখ, বিষয়, আর পত্রিকার নাম লিখে রাখি। যে যে লেখা প্রকাশিত হতে থাকে তা অন্যনোট খাতায় লিখে রাখি। যা আজও আমার কাছে আছে।
নতুন পুরাতন পত্রিকা পড়া শুরু করি। যে বিষয়ে আগ্রহী সেগুলো বেশি করে পড়ি। আড্ডা, গল্প, এদিকওদিক ঘুরাঘুরি কমিয়ে দিয়ে প্রথম প্রাধান্য পরিবারকে দিয়ে লেখালেখিকে আমার দ্বিতীয় পরিবার হিসাবে ভাবতে শুরু করি। আমার লেখার সাথে কোন মোবাইল নাম্বার দেয়ার ব্যবস্থা ছিলো না। সেটা অনেকটা ভয়ে, যদি অপরিচিত কেউ কল করে। দৈনিক পত্রিকায় লেখা প্রকাশ শুরু হয়। কোথাও কোন বিষয়ে লেখার ঘোষণা থাকলেই লিখতাম। এদিক দিয়ে এগিয়ে ছিলো কয়েকটা (সাপ্তাহিক, সাপ্তাহিক ২০০০, মাসিক মনোজগৎ, সাপ্তাহিক রোববার, মৌচাকে ঢিল) সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা। একটু একটু করে প্রকাশ পাচ্ছে আমিও লিখে যাচ্ছি। পত্রিকায় হাতের লেখার আসল কপিটা পাঠাতে হতো কিন্তু আমি তা পারতামনা। কারণ আমি একপাতা ব্যবহার করা পেইজে লিখি। ফটোকপির দোকানে নষ্ট হওয়া পেইজগুলো চেয়ে নিতাম, ভাইয়ের বা অন্যকারো অফিসের একপেইজ ব্যবহার করা কাগজগুলো এনে আমি লিখতাম। সেসব পত্রিকার অফিসে দেয়া যাবে না বলে ফটোকপি পেইজ পাঠাতাম।
দিবস ভিত্তিক লেখাগুলোকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে পত্রিকা। দিবসের লিস্ট তৈরি করি। মাসের এক না হয় দুই তারিখে প্রকাশের জন্যে লেখাশুরু করি, “জানুয়ারির বিশেষ দিনগুলো “, “ডিসেম্বরের বিশেষ দিনগুলো” এমন শিরোনামে। কিছু পত্রিকা লেখাগুলো পছন্দ করেছে বলে প্রতিমাসে পাঠাতাম। ছাপা হতো আর আমার উৎসাহ বাড়তে থাকে। একটু চেঞ্জ করে করে ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকায় পাঠানোর পাশাপাশি ইসলামি ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত অগ্রপথিক পত্রিকায় প্রতিমাসে লেখাগুলো দিতে শুরু করি। অগ্রপথিক পত্রিকায় পুরো একবছরের ১২ মাসে ১২ লেখা প্রকাশিত হয়। সম্মানী পাবো ভেবে আনন্দ ডাবল হয়।
পরেরবছর কি দিবো ভাবতে ভাবতে বিশেষ ব্যক্তিদের নিয়ে লেখা শুরু করি। যেমন জানুয়ারি মাসে বিখ্যাত কার কার জন্মদিন মৃত্যু দিন তাদের সম্পর্কে ছোট করে লিখি। সব মিলিয়ে ৬/৭/৮/৯ জনকে নিয়ে একটা লিখতে শুরু করি। এসব লেখার পাশাপাশি গল্প, কবিতা, ফিচার লেখাও চলছে নিয়মিত। দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকা বের হওয়া শুরু। প্রতি শুক্রবার একটা মতামত এর ঘোষণা থাকতো, কল করে মতামত বললে পরেরদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। প্র্থম আলো যুগান্তর পত্রিকায় ও এমন মতামত দিয়েছি। সেখানে রয়েছে আমার এক মজার ঘটনা। প্রথম আলোতে আমার মতামত ছাপা, পাশেই দেখি আরেকটা মতামত আছে আব্দুল মান্নান মতিন এর নাম। এটা তো আমার বাবার নাম। বাবাকে কল করতেই উনি বললেন উনিও দেন মাঝে মাঝে। প্রায় একসাথে বাবা মেয়ের মতামত ছাপা হতো, আমি লাগাতার সেই মতামত দিতাম। ছড়া জীবনে লিখিনি, আমি বলি-” ছড়া ভিষণ কড়া”, কবিতা লিখেছি তবে তা কবিতা হয়ে উঠেছে কিনা তা জানিনা। এটা ঠিক পত্রিকার গদ্যগুলো আমায় খুব টানতো। তাই গদ্যই বেশি পড়তাম, আর লিখতে চেষ্টা করতাম।
বিখ্যাত কলামিস্টদের কলামগুলো লেখার কৌশল বুঝার চেষ্টা করতাম। চিঠিপত্রের কলাম আর মতামত থেকে বেরিয়ে ৫/৬/৭শ শব্দের লেখা পাঠাতে থাকি।এর কিছুদিন পর শুরু হয় কলাম লেখা। ইস্যুভিত্তিক লেখা। লেখার শেষ বরাবর লিখতাম, রহিমা আক্তার মৌ, তেজগাঁও, ঢাকা। লেখাগুলো প্রকাশের সময় সম্মানীত বিভাগীয় সম্পাদক লেখার শেষে কখনও সাহিত্যিক, কখনও কলামিস্ট আবার কখনও প্রাবন্ধিক লিখে দিতেন। এরপর থেকে আমিও সেই পদবীগুলো লেখা শুরু করি। মেয়েদের স্কুলের প্রোগ্রাম গুলোতে নিউজ করার জন্য পত্রিকায় আমি কল দিতাম। পরিচয় দেয়ার পর কেউকেউ বলতেন, “আপনিই লিখুন, লেখার সাথে ছবি তুলে পাঠিয়ে দিন”। সেটাও করেছি অনেক। পথেঘাটের ভালোমন্দ নিয়ে ছবি তুলে লেখার সাথে পাঠাতাম।
আমার পাশাপাশি দুই মেয়েও লিখতে শুরু করে, তবে আমার মতো নয়। ওরা যা মনে আসতো তা রাফ কাগজে লিখতো, আমি চুপেচাপে সেগুলো ফ্রেস করে লিখে পত্রিকায় ওদের নামে পাঠাতাম। সাপ্তাহিক নামে যে পত্রিকাটি বের হতো সেখানে নিয়মিত আমরা তিনজন লিখতাম। হাতের লেখা একই বলে, নিচে নোটে লিখতাম, “ওদের লেখা আমিই ফ্রেস করে লিখি তাই হাতের লেখা একই”। সংবাদ পত্রিকার খেলাঘর পাতায় প্রতি সপ্তাহে একটা করে শিশুতোষ গল্প ছাপা হতো। পাতার গল্পের অংশটা অনেকদিন আমাদের মা মেয়ের দখলে ছিলো। পত্রিকা বা সাহিত্যের পাতায় লিখতাম বলে যে কোন একটা বই বের করা আমার পক্ষে ভাবনার ছিলো। কিন্তু লেখাগুলোকে স্থায়ী করার উপায়। “মুক্ত আকাশ কতদূর” নামে অমর একুশে বইমেলা ২০১৪ এ প্রথম বই বের করি সংকলন হিসাবে। মানে একবইয়ে গল্প, কবিতা, দিবস, প্রবন্ধ, কলাম ও চিঠি।
২০১৫ সালে গল্পের বই, ২০১৬ সাল আমার জন্যে এক বিশাল আনন্দের। আমার জানামতে এই প্রথম দেশে মা মেয়ের যৌথ বই। দুইমেয়ের আর আমার শিশুতোষ গল্পগুলো দিয়ে “মেঘনার মিষ্টিস্বপ্ন” নামে বইটি প্রকাশ করি। চলছে আমার প্রথম পরিবার ও দ্বিতীয় পরিবারের একসাথে চলা। একজন নারীর লেখালেখি জীবনে বাধা কতটুকু তা আজ লিখবো না, আজ আমার আনন্দের কথাই লিখবো। আমার জানামতে লেখালেখির জন্যে কখনো পরিবারের যে কোন দায়িত্বে অবহেলা করিনি, অবশ্য আমার সামর্থ্য অনুযায়ী। সেই থেকে আজ অমর একুশে ২০২৪ সালে মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে বহুবার একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি তা হলো-
লেখালেখির পাশাপাশি কি করেন? জবাবে বলেছি, “সংসার করি”।
ব্যক্তিবিশেষদের নিয়ে লিখতে লিখতে ৫ জন নারী, ৫ জন পুরুষকে নিয়ে “নক্ষত্ররাজির কথা” নামে বইটি করি। স্বপ্ন ছিলো সমাজের ভিন্ন ভিন্ন পেশা বা শ্রেণির ৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষকে দিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবো, কিন্তু হলো না। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া নারীদের নিয়ে অনেক লিখেছি। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর এই ১৬ দিন দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ৭ নং পেইজের উপরের অংশ আমার জন্য বরাদ্দ হয়। “একাত্তর ও নারী” শিরোনামে ১৬ জন মুক্তিসংগ্রামী নারীদের নিয়ে লিখি। যা ২০১৮ সালে “একাত্তর ও নারী” নামে বই হয়। ইচ্ছে ছিলো সমাজের (ধর্ম, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে) ১৬ জন নারীকে দিয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করবো। আমরা নারীরা মঞ্চে আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সামনে ক্যামেরা হাতে থাকবে। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নেই রয়ে গেলো। “একাত্তর ও নারী” বইটি চতুর্থ সংস্করণ হয়েছে। পাবলিক লাইব্রেরি, ইসলামি ফাউন্ডেশন অনেক বই কিনে নিয়েছে। নারীদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যায়।
ভাষা আন্দোলনের নারীদের নিয়ে পড়ছি। বইমেলা, রকমারি, লাইব্রেরি থেকে অনেক বই সংগ্রহ করেছি। প্রিয়জনদের থেকে কিছু বই হাওলাত এনেছি। ভাষা আন্দোলনের কথা উঠলেই অতিপরিচিতদের নাম বারবার উঠে আসে। পুরুষদের পাশাপাশি নারী যে কয়জনের নাম আসে তা একেবারেই অল্প। মনে প্রশ্ন – তাহলে কি নারীরা সেইভাবে অংশ নেন নি? শুরু হয় আমার আরো পড়া। আগেই বলেছি আমি পড়ালেখায় ফাঁকিবাজ ছিলাম। সার্টিফিকেট এর সংখ্যা খুবই কম। সে আমি নিজের প্রয়োজনে পড়ছি, জানি লিখতে হলে পড়তে হবে। ২০১৮-১৯ সাল থেকে শুরু হয় ভাষাকন্যাদের নিয়ে কাজ। নিজের মতো করে তথ্য সংগ্রহ করে লিখে রাখছি। পড়ছি পড়ছি। লিখছি, পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি আসলে পত্রিকায় দিচ্ছি। ভাষাকন্যাদের ছাড়াও ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক লেখা লিখেছি। কিন্তু কন্যাদের লেখাগুলো নিয়ে নতুন ভাবনা মাথায়।
২০২১ থেকে চেষ্টা করেছি ভাষাপরিবার খোঁজার। কিছু তথ্য ভুল পাচ্ছি তাই সংশোধন করার জন্যে আমার পরিবার দরকার। নিজের চেষ্টায় ত্রুটি না রেখে ২১ ভাষাকন্যাকে নিয়ে আমার “ভাষা আন্দোলনের নারী ভাষাকন্যারা” পাণ্ডুলিপি। আবার সেই একই স্বপ্ন, (ধর্ম, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে) ২১ কন্যাদের দিয়েই হবে বইটির মোড়ক উন্মোচন। জানি কেউ কেউ ভিন্ন ভাবে নিতেও পারে, কিন্তু আমার জেগে জেগে দেখা স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করে দিই। অত:পর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসলো অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার। মোড়ক উন্মোচন হয় দুইভাগে। প্রথমবার মঞ্চে থাকেন ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন পেশার একুশ কন্যারা। পরের পর্যায়ে মোড়ক উন্মোচন করা হয় এলাকার বড় ভাই, প্রকাশক ও ভাষাকন্যা পরিবারকে নিয়ে।
বইটির মোড়ক উন্মোচনে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কবি, গল্পকার, সম্পাদক ও জলদি প্রকাশনার প্রকাশক নাহিদা আশরাফী। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বড় ভাই সচিব গোলাম কিবরিয়া বাবুল (অবসরপ্রাপ্ত) ও মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু। ভাষাকন্যা আনোয়ারা খাতুনের ভাইয়ের ছেলে মিজানুর রহমান রিমন, পুত্রবধূ শামীমা আফরোজ তৃপ্তি, নাতনি জান্নাতুল রাইসা। আরো উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোক্তা সানজিদা হাবিব, ফারিহা আহসান অভ্র, আসমা সরকার, সালমা সুলতানা, নূরজাহান নীরা, তাহমিনা শিল্পী, সোমা তাহেরা চৌধুরী, নাসরীন সুলতানা, খায়রুননেছা রিমি। সাইয়েদা রত্না, নাহিদ তানিয়া খান, আলেয়া বেগম আলো। সাবিনা ইয়াসমিন, ইসরাত ফারাবি অর্পি, আখতার জাহান জেসমিন, কামরুন নাহার, রওশান ই ফেরদৌস, পার্থ খন্দকার সহ এলাকার ছোট ভাইয়েরা।
বাংলা একাডেমি বা বইমেলা নিয়ে খুব যে জানি তা নয়। তবে অনেকের মুখে শুনেছি এমন আয়োজন এই প্রথম। তখন আনন্দ লাগে এই ভেবে যে হোক না কিছু প্রথম আমাকে দিয়েই। ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ সালে আমার ২৫ তম বই, ২৫ কলমকন্যাকে নিয়ে লেখা ” বাংলা সাহিত্যের কলমকন্যারা” প্রকাশ করবো। হয়তো বর্তমানের ২৫ কন্যাকে নিয়ে আবার মোড়ক উন্মোচনের মঞ্চে উঠবো। পাণ্ডুলিপি রেডি আছে এখন শুধু প্রকাশকের অপেক্ষা।
রহিমা আক্তার মৌ
সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।
আপনার মতামত লিখুন :