
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ২নং পালশা ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনকে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ ওই ইউপির চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম প্রধানের শ্যালক লিটন মিয়ার কাছে ভিজিডি ও ভিজিএফ এর হালনাগাদ তালিকা চাওয়ায় লিটন ওই ইউপি সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হাত-পা কেটে নেওয়া সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
রবিরার (৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ঘোড়াঘাট প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন পালশা ইউপি ২নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আনোয়ার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত শনিবার (০৮ জুন) আনুমানিক দুপুর ০১.১৫ মিনিটে ২নং পালশা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কক্ষে ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ড এর তালিকা নেওয়ার জন্য ইউপি সচিবের সাথে কথা বলে হালনাগাকৃত তালিকা চাইলে ইউপি সচিব বিষ্ণু বাবু বলেন, তালিকা লিটন মিয়ার কাছে আছে। তখন তিনি লিটন মিয়াকে ফোন দিলে লিটন ফোন রিসিভ করেননি। এর কিছুক্ষণ পরে লিটন মিয়া পরিষদের অফিস কক্ষে আসলে ওই ইউপি সদস্য ফোন রিসিভ না করার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তিনি রাগান্বিত হয়ে তার নিকট তেড়ে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ মারধরের চেষ্টা করেন। পরক্ষনে তিনি তার লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করে টানাহেচড়া করতে থাকেন। ইউপি সদস্য আনোয়ার জীবন রক্ষার্থে তাদের নিকট নিজেকে ছাড়িয়ে চলে যাওয়ার সময় লিটন তার হাত-পা কেটে নেওয়াসহ খুন জখমের হুমকি দেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ২নং পালশা ইউনিয়নে একজন বহিরাগত ব্যক্তি হয়েও লিটন মিয়া নিজেকে চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম প্রধানের শ্যালক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভিজিডি, ভিজিএফ এবং বিভিন্ন সুবিধা ভোগীর তালিকা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করছেন তার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানান। এ বিষয়ে তিনি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।