চিন্ময়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্তের নির্দেশ

সহ সম্পাদক

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, প্রাণনাশের চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে’ চট্টগ্রাম আদালতে মামলার আবেদনের পর বিচারক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলার আবেদনটি করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি।

আবেদনকারীর আইনজীবী ইরফানুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন বিজ্ঞ বিচারক।
আদালত চট্টগ্রামের কোতয়ালি থানার ওসিকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশও দিয়েছেন।

মামলার আবেদনে গত ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকে বন্দি চিন্ময়সহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করা হয় বলে জানান আইনজীবী ইরফানুল হক।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় জেলা রেজিস্টার কার্যালয়ে তিনি জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য আসার পর চিন্ময়ের অনুসারীরা তাকে মারধর করে। মারধরে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ছাড়াও হাত ভেঙে যায় বলেও বাদী উল্লেখ করেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ায় এতদিন মামলা করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করা হয় আবেদনে।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়ের জামিন আবেদন নাকচ করার পর গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।

বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর সরকার সমর্থক আইনজীবী ও তাদের চেম্বারের কর্মচারীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে হত্যা করা হয়।

সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় এর আগে পুলিশ তিনটি মামলায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করেছে ১৪০০ জনকে।

আলিফকে হত্যার ঘটনায় তারা বাবা ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ভাঙচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন আলিফের ভাই খানে আলম।

সবশেষ ৪ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্ল্যাহ নামে এক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।

Share This Article