কেএলআইএ এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়াকুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআই) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আকাশে নতুন ইতিহাস গড়ছে। মাত্র ছয় মাস আগেও কেএলআই ছিল চতুর্থ স্থানে, আর এখন এটি উঠে এসেছে দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে। আগস্ট মাসে ৩.৩২ মিলিয়ন যাত্রীবাহী আসন পরিচালনা করে কেএলআই সিঙ্গাপুরের চাঙ্গির পরেই জায়গা করে নিয়েছে।

চীনের সাংহাই থেকে কুয়ালালামপুরে ভ্রমণকারী পর্যটক লি ঝেন বলেন, “ভিসা ছাড়া মালয়েশিয়ায় আসা আমার জন্য অনেক সহজ হয়েছে। কেএলআই-তে অবতরণের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াটাও আগের চেয়ে দ্রুত মনে হয়েছে।”

ভারতীয় ব্যবসায়ী রবি শংকর জানান, “কেএলআই-র কানেক্টিভিটি এখন অনেক শক্তিশালী। বিভিন্ন এয়ারলাইন ও নতুন রুট যুক্ত হওয়ায় আমার ব্যবসায়িক সফর সহজ হয়ে গেছে।”
মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, “কেএলআই-তে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে সেটা বোঝা যায়। তবে পরিষেবার মান ও যাত্রী ব্যবস্থাপনা এখনও প্রশংসনীয়।” পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা এই সাফল্যকে দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন।

কুয়ালালামপুরের একজন হোটেল ম্যানেজার জানান, “কেএলআই দিয়ে যাত্রী বাড়ার কারণে আমাদের বুকিংও বেড়েছে। বিশেষ করে চীন ও ভারতের ভিসা-মুক্ত পর্যটকরা আমাদের ব্যবসায় নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে।”
একটি স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সির পরিচালক বলেন, “এয়ারএশিয়ার নতুন রুট আর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দীর্ঘ রুট চালুর কারণে ইউরোপীয় যাত্রীদের সংখ্যাও বাড়ছে। এতে আমাদের ট্যুর প্যাকেজ বিক্রি অনেক সহজ হচ্ছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, কেএলআইএ-র যাত্রী বৃদ্ধির প্রধান কারণ বিমান সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভিসা নীতির পরিবর্তন। গত বছর যেখানে ৫৯টি এয়ারলাইন কেএলআই ব্যবহার করত, এ বছর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।

এছাড়া চীন ও ভারতের ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার যাত্রী বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এন্ডাউ অ্যানালিটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা শুকর ইউসুফ বলেন, “আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার মধ্যেও কেএআই-র উন্নতি প্রমাণ করছে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।”

কেএলআই-র এই অগ্রগতি শুধু মালয়েশিয়ার বিমান খাতের নয়, বরং পর্যটন শিল্প ও জাতীয় অর্থনীতির জন্য বড় ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। ভ্রমণকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য, ব্যবসায়ীদের আস্থা এবং বৈশ্বিক এয়ারলাইন সম্প্রসারণ একত্রে কেএলআইকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আকাশে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।



ভালো সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ ফিডটি অনুসরণ করুন


Google News

Share This Article