ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতার পাশে তারেক রহমান

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজতে ইসলাম নেতা ও সংগঠনটির সাবেক আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবার-এর প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মাওলানা ফারুকীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ সময় তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ মাওলানা ফারুকীর হাতে তুলে দেন এবং সবসময় আলেমদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। 

আমরা বিএনপি পরিবার-এর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, আমরা বিএনপি পরিবার-এর সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, রুবেল আমিন ও শাহাদত হোসেন।

এ সময় সংগঠনটির আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও আলেম-ওলামাদের সঙ্গে জিয়া পরিবারের ঐতিহাসিক ও আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই আমরা মাওলানা ফারুকীর পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা জেনেছি সাধারণ মানুষও সাধ্যমতো ভালোবাসা নিয়ে মাওলানা ফারুকীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ কাসেমী, মুফতি জাবের কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমুদী, হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা সালেহ আহমদ আজম ও মুফতি এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন— জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি জামিল হোসেন, বর্তমান সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আওয়াল, হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, হাসানুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রনি, ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান মহান-সহ বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ প্রমুখ।

উল্লেখ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে গত ২০২১ সালের মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময় মিথ্যা ১৬টি মামলায় মাওলানা ফারুকী কারাভোগ করেন। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২৪ দিন রিমান্ডে অবর্ণনীয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং চিকিৎসাবিহীন টানা দেড় বছর কারাভোগ মাওলানা ফারুকীর জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়ে উঠে।

গ্রেফতারের পর নির্যাতনের চূড়ান্ত ধকলেই মাওলানা ফারুকীর শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। ইতোপূর্বে তিনি দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসকদের পাশাপাশি ভারতের চেন্নাই সিএমসি হাসপাতালে প্রায় বছরখানেক চিকিৎসা নিয়েছেন। চলতি মাসের শেষ দিকে তাকে চীনের গুয়াংজু হাসপাতালে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।

 

Share This Article