পরকীয়া প্রেমে স্বামীকে খুন, মেয়ের মুখে গোপন রহস্য ফাঁস

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী হ্যাপি আক্তার (৩০)। বিষয়টি জানতে পারায় স্বামী ইকবাল হোসেনকে (৩৫) প্রাণ দিতে হয়েছে– এমনই অভিযোগ উঠেছে হ্যাপি ও তার প্রেমিক রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে। তবে ঘটনা গোপন রাখতে চাইলেও সব ফাঁস করে দেন তাদের সাত বছরের মেয়ে লিমা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের স্কুলের বাজার এলাকা থেকে ইকবালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে স্ত্রী হ্যাপি আক্তারকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের ভাষ্য, প্রায় ১৫ বছর আগে ইকবাল ও হ্যাপির বিয়ে হয়। এ দম্পতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় ‘তামান্না গার্মেন্টস’-এ চাকরি করতেন। তাদের সাত বছরের মেয়ে লিমা।

স্বজনরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি হ্যাপি স্থানীয় টেইলার্স কর্মী রুবেল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। গত ২০ অক্টোবর (সোমবার) রাতে ইকবাল ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে রুবেলকে হাতেনাতে ধরেন। এরপর শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। একপর্যায়ে হ্যাপি ও রুবেল ইকবালকে হত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে হ্যাপি ইকবালের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি রওনা হন। গভীর রাতে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে তাদের মেয়ে লিমা কাঁদতে কাঁদতে জানায়, ‘বাবাকে মা আর এক চাচা মেরেছে।’ শিশুটির মুখে ঘটনাটি শোনার পর পরিবারের লোকদের সন্দেহ আরও বাড়ে।

পরে মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে স্বজনরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়দের দাবি, হ্যাপি পরিকল্পিতভাবে প্রেমিক রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে ইকবালকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি গোপন রেখে মরদেহ দাফনের উদ্দেশে গ্রামে নিয়ে গেলেও মেয়ের মুখ থেকে রহস্য ফাঁস হয়ে যায়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুল ইসলাম তালুকদার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক হ্যাপিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি রূপগঞ্জ এলাকায় ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হ্যাপিকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

Share This Article